১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদপুরের সালথায় পৃথক দুই স্থানে এক যুবক ও কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়ে ভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছে পরিবার দুটি। তারা দাবি করছে, ওই যুবক বিয়ের বায়না ধরে পরে ‘আত্মহত্যা’ করেন। আর কিশোরী ‘আত্মহত্যা’ করেন জিনের আছরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের পূর্বপাড়া মো. দেলোয়ার শেখের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিরা আক্তারের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মনিরার চাচাতো ভাই বোরহান শেখ জানান, মনিরা সহজ-সরল মেয়ে। কিন্তু খুব জেদি ছিল। বিভিন্ন সময় নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করতো। বুধবার রাতে সে বাসায় ঝগড়া করে।
পরিবারের লোকদের ভাষ্য, মা-বাবা ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই মনিরাকে ভালোবাসে। তার এমন আচরণকে জিনের আছর বলে মনে করতেন তারা।
অপরদিকে একই উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উথুলী গ্রামের বকুল শেখের ছেলে নাগর শেখ (২৫) মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তার পরিবার জানায়।
তারা বলেন, সম্প্রতি নাগর শেখ বিয়ের বায়না ধরেন। আসছে কার্তিক মাসে ফসল উঠলে তাকে বিয়ে দেওয়া হবে এমন কথা বলে অভিভাবকরা তাকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন। তাতে তার প্রচণ্ড অভিমান হয়। তিনি ‘আত্মহত্যা’ করতে বিষপান করেন। দুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তার আগে ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ১১টার দিকে নাগর শেখ বিষপান করেন বলে জানান পরিবারে সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, এ দুটি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা আত্মহত্যা করেছেন। মানবিক বিবেচনায় মর্গ হতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ ছাড় করিয়ে তাদের দাফন করা হয়।